মজার রসায়ন

রসায়ন কি?

রসায়ন : (ইংরেজি: Chemistry) জড় পদার্থের উপাদান, কাঠামো, ধর্ম ও পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞান। রসায়নবিদেরা মনে করেন বিশ্বের যাবতীয় বস্তু পরমাণু দিয়ে গঠিত। দুই বা ততোধিক পরমাণু রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা সংযোজিত হয়ে অণুর সৃষ্টি করে। এক বা একাধিক ইলেকট্রন পরমাণু বা অণু থেকে সরিয়ে নিলে বা যোগ করলে আধানযুক্ত কণা তথা আয়ন সৃষ্টি হয়। ধনাত্মক আয়ন ও ঋণাত্মক আয়নের সংযোগে সৃষ্টি হয় আধান-নিরপেক্ষ লবণ। রসায়নবিদেরা আণবিক ও পারমাণবিক স্তরে পদার্থ সম্পর্কে তাঁদের জ্ঞান দিয়ে কীভাবে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ একে অপরের সাথে ক্রিয়া করে এবং এগুলি কীভাবে বিভিন্ন অবস্থায় রূপান্তরিত হয়, তা ব্যাখ্যা করতে পারেন। রসায়নবিদেরা পদার্থের পরিবর্তন সাধন করতে পারেন ও নতুন নতুন যৌগ সৃষ্টি করতে পারেন যাদের মধ্যে আছে ঔষধ, বিস্ফোরক, প্রসাধনী ও খাদ্য। রাসায়নিক সংশ্লেষণ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন শিল্পে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। পদার্থের প্রকারভেদ কিংবা গবেষণার সাদৃশ্য বিবেচনা করে রসায়নের বিভিন্ন শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রসায়নের প্রধান শাখাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অজৈব রসায়ন অর্থাৎ রসায়নের যে শাখায় অজৈব যৌগ নিয়ে আলোচনা করা হয়, জৈব রসায়ন বা যে শাখায় জৈব যৌগ নিয়ে আলোচনা করা হয়, প্রাণরসায়ন, রসায়নের যে শাখায় জীবদেহের রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়, ভৌত রসায়ন, এই শাখায় আণবিক পর্যায়ে শক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত রাসায়নিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়, বিশ্লেষণী রসায়ন, এক্ষেত্রে পদার্থের বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের গঠন, সংযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সাম্প্রতিক কালে রসায়নের আরও অনেক নতুন শাখার উদ্ভব হয়েছে, যেমন- স্নায়ুরসায়ন, স্নায়ুতন্ত্রেররাসায়নিক গঠন নিয়ে এই শাখায় আলোচনা করা হয়।

জারণ-বিজারণ মনে রাখার টেকনিক

টেকনিক ১ :
ছন্দঃ জাদা বিগ্রহ
জা দা → জারণ দান
বি গ্রহ → বিজারণ গ্রহন
এখানে ইলেক্ট্রন দান করলে জারন হয়। এবং ইলেক্ট্রন গ্রহন করলে বিজারণ হয় ।

টেকনিক ২ :

জারণ হয় :
মাইনাস মাইনাস হলেপ্লাস প্লাস হলে ।অর্থাৎ
ঋনাত্মক ইলেক্ট্রন ত্যাগ হলে বা মাইনাস হলে
জারণ হয় এবং ধনাত্মক প্রোটন সংযোগ হলে বা যোগ
হলে জারণ হয়।

বিজারণ হয় :মাইনাস প্লাস হলে প্লাস মাইনাস হলে ।
অর্থাৎ,ঋনাত্মক ইলেক্ট্রন সংযোগ হলে বা যোগ হলে
বিজারণ হয় এবং ধনাত্মক প্রোটন ত্যাগ বা
মাইনাস হলে বিজারণ হয় ।

টেকনিক ৩ :

জোবি জোরা

জো বি → যোজ্যতা বৃদ্ধি = জারণ
জো রা → যোজ্যতা হ্রাস = বিজারণ

এলকিনের বিক্রিয়া মনে রাখার কৌশল

অ্যালকিনের বিক্রিয়াগুলো মনে রাখো শুধুমাত্র সহজ একটা ইংরেজী শব্দ দিয়েঃ
'PROPOSE'
PRO = প্রতিস্থাপন
P = পলিমারকরণ
O = ওজনীকরণ
S = সংযোজন/যুত
E = ইলেক্ট্রন ত্যাগ (জারণ)

লবণ সেতুর কাজ মনে রাখার টেকনিক

লবণ সেতুর কাজ মনে রাখার টেকনিক :::
"সেতু ভেনিস "
সেতু= লবণ সেতু
ভে= ভারসাম্য রক্ষা
নি= নিরেপেক্ষতা
স= সংযোগ রক্ষা

হেটারোসাইক্লিক যৌগের উদাহরণ মনে রাখার কৌশল

হেটারোসাইক্লিক যৌগের উদাহরণ মনে রাখার কৌশল
"পাপি টাকে ফিথাই বাধ"
পা : পাইরল
পি : পিরিডিন
টাকে : টেট্রাহাইড্রোফিউরান
ফিথাই : ফিউরান,থায়োফিন ,ইথিলিন,ইথলিন
আক্সাইড ..

কিছু পলি নিউক্লিয়ার যৌগ

কিছু পলি নিউক্লিয়ার যৌগ :
"ডাই নাকে আন"
ডাই : ডাইফিনাইল
নাকে : ন্যাপথালিন 
আন : এনথ্রাসিস...

ক্লোরিন (Cl) এর সব ব্যবহার মনে রাখার টেকনিক

" জী আন্টি, আপনি হাতি + কাঁদুনে + বোরিং +কিপ্টা + পঁচা "

জী = জীবাণু নাশক
আন্টি = এন্টিনক তরল
আপ নি = অগ্নি নির্বাপক
হা তি = হিমায়ক তরল
কাঁদুনে = কাঁদুনে গ্যাস
বোরিং = বিরঞ্জক
কিপ্টা = কীটনাশক
পঁচা = পচন নিবারক

কোন ফলে কোন এসিড

১.লেবু ------------সাইট্রিক এসিড। 
২.আপেল-----------ম্যালিক এসিড। 
৩.তেতুল-----------টারটারিক এসিড। 
৪.পেয়ারা-----------এসকরবিক এসিড। 
৫.আমড়া-----------এসকরবিক এসিড। 
৬.টমেটো-----------মলিক এসিড। 
৭.কমলা-------------এসকরবিক এসিড। 
৮.কামরাঙ্গা----------এসকরবিক এসিড। 
৯.আমলকি-----------অক্সালিক এসিড। 
১০.আঙ্গুর------------টারটারিক এসিড

পর্যায় সারণী মনে রাখার সহজ কৌশল

মনে রাখবেন, আপনাকে যেকোন উপায়ে মনেরাখতেই হবে। সেটা শুনতে খারাপ, ভাল হয়নি এরুপ ভাবলে কখনও মনে রাখতে পারবেন না। আরব্যতিক্রমী না হলে আপনি কখনও কিছু মনে রাখতেপারবেন না। তাই আসুন নিচের প্রয়োজনীয়মৌলগুলোর নাম সহজভাবে মনে রাখি।

গ্রুপ 1A:
H Li Na K Rb Cs Fr
হা লায় না কি রাবি-তে
কাশ ফেলেছে

গ্রুপ 2A :
Be Mg Ca Sr Ba Ra
বেয়াদব মাইয়াগো কাম শরীর বাইরে রাখা

গ্রুপ 3A :
B Al Ga In Tl
বলে এলাম জাই য়েন তাইলে

গ্রুপ 4A:
C Si Ge Sn Pb
ছি! সিলেট গেলেন? সমস্যায় পড়বেন

গ্রুপ 5A:
N P As Sb Bi
না পারলে আসলে সুবিধা বেশি

গ্রুপ 6A :
O S Se Te Po
ওর ছোট ছেলেটা টেবিলে পড়ে

গ্রুপ 7A :
F Cl I Br At
ফেল করলেও আইজ বাড়িতে আসতাম

পর্যায়-2
Li Be B C N O F Ne
লি বেন? বেনী চুড়ি? নিপস্টিক ও ফা ইন

পর্যায়-3
Na Mg Al Si P S Cl Ar
না! মগা আলু ছিলতে পারে সব কিলি য়ার

পর্যায়-4
Sc Ti V Cr Mn Fe Co Ni Cu Zn
স্কুল টি ভাঙায় চেয়ার ম্যান ফের কমিশন নিয়ে
কাজে যাচ্ছেন

পর্যায়-5
Y Zr Nb Mo Tc Ru Rh Pd Ag Cd
ইওর জ্বর নামবে মন টাকে আরো রেস্ট-হতে দাও
পারলে আগে কাঁদো

ল্যান্থানাইডঃ
Ce Pr Nd Pm Sm Eu Gd Tb Dy Ho Er Tm Yb Lu
ছেলের প্রীতি এন্ড প্রেম সমানইউরোপ গুড তবে
ডাইরিয়া হয় এর টমেটো ইয়লো ব্লু

অ্যাক্টিনাইডঃ
Th Pa U Np Pu Am Cm Bk Cf Es Fm Md No Lr
থাকলে পাশে ইউএনপি পুঁথি আমার কমেনা বিকেলে
ক্যাফেতে এসে এফ এম মোডে নুডলস লাড়ি

বি:দ্র: কেউ অন্য উপায়ে মনে রাখলে প্লিজ এটা
মনে রাখার দরকার নেই। কারন, এলামেলো হয়ে
যেতে পারে।

ইলেক্ট্রন আকর্ষী বিকারক

যে সকল বিকারক ইলেক্ট্রন প্রিয় অর্থাৎ বিক্রিয়া কালে ইলেক্ট্রন গ্রহন করে তাকে ইলেক্ট্রন আকর্ষী বিকারক বলে ।
ইহা দুই প্রকার ।
যথা
১. ধনাত্বক ইলেক্ট্রোফাইল
২. প্রশম ইলেক্ট্রোফাইল
ধনাত্বক ইলেক্ট্রোফাইল মনে রাখার উপায়-
"কাকার নানা বাড়ীর পাশে হাটছে"
এখানে,
কা= কার্বোনিয়াম আয়ন R+ 
কা = কার্বোক্যাটায়ন .CH3+ 
না =নাইট্রোনিয়াম আয়ন NO2+ 
না= নাইট্রোসোনিয়াম আয়ন NO+ 
বাড়ীর =ব্রোমিয়াম Br+ 
পাশে =প্রোটন H+ 
হাটছে = হাইড্রোনিয়াম (H3O+

Fe (আয়রন) এর আকরিক সমূহের নাম মনে রাখার ছন্দ

"মাগো, লিসারে ফিরে পেতে চাই "
এখানে,
মাগো = ম্যাগনেটাইট
লি = লিমোনাইট
সা = সাইডেরাইট
রে = রেড হিমাটাইট
ফিরে = Fe (এই
আকরিকগুলো যে আয়রনের
সেটা মনে রাখার জন্য)
পেতে = পাইরাইটস

ক্ষারধর্মী অ্যামাইনো এসিডগুলোর নাম মনে রাখার ছন্দ :

"লাইলি আর হিমেলের প্রেম খাঁটি"
এখানে,
লাইলি → লাইসিন
আর → আরজিনিন
হিমেল → হিস্টিডিন
প্রেম → প্রোলিন
খাঁটি → ক্ষারধর্মী । এই অ্যামাইনো এসিডগুলো যে
ক্ষারধর্মী সেটা এই 'খাঁটি' শব্দটি থেকে মনে রাখবে ।

আবিস্কার ও আবিষ্কারক

কিছু আবিস্কার ও আবিষ্কারক - এর নাম :
(1)হাইড্রোজেন - হেনরি ক্যাভেন্ডিস
(2)অক্সিজেন - প্রিস্টলি
(3)ক্লোরিন - ময়সাঁ
(4)ওজোন - স্কোনবীনি
(5)ইলেকট্রন - থমসন
(6)প্রোটন - রাদারফোর্ড
(7)নিউট্রন - চ্যাডউইক
(8)রেডিয়াম - মাদাম কুরি ওপিয়েরে কুরি
(9)শুষ্ক কোষ - জর্জেস লেকল্যান্স
(10)বৈদ্যুতিক কোষ - আলেকসান্দ্রভোল্টা
(11)পারমাণবিক সংখ্যা - মোঁসলে
(12)তড়িৎ বিশ্লেষণ - মাইকেল ফ্যারাডে

অ্যারোমেটিক যৌগ রের করার একটা সুন্দর টেকনিক

হাকেল নিয়মের পরিবর্তে অ্যারোমেটিক যৌগ রের করার একটা সুন্দর টেকনিক | আশা করি কাজে লাগবে |
n=(x-1)/2
এখানে,x=পাইবন্ধনের সংখ্যা বা দ্বি বন্ধনের সংখ্যা |
n এর মান=পূর্ণ সংখ্যা হলে,অ্যারোমেটিক যৌগ |
n এর মান =ভগ্নাংশ হলে অ্যারোমেটিক যৌগ নয় |

Example--বেনজিনে পাই বন্ধন তিনটি |
n=(3-1)/2=1
n এর মান একটি পূর্ণ সংখ্যা তাই বেনজিন অ্যারোমেটিক যৌগ |

রসায়নের কিছু বিষয় মনে রাখা ছোট্ট কয়েকটি টিপস

১। অনীলা = অম্ল নীলকে লাল করে (লিটমাস পরীক্ষ)অ = অম্ল, নী = নীল, লা =লাল

২।ইট পরে নিচে(ইলেকট্রন,প্রোটন ও নিট্রনের আবিষ্কারক)ই = ইলেকট্রন, ট = টমসন (থমসন)প = প্রোটন, রে =রাদারফোর্ড নী = নিউট্রন, চে =চ্যাডউইক

৩। হিলি নিলি আর কৃপা যায় রংপুরে (নিস্ক্রিয় গ্যাস)

হিলি = হিলিয়াম,
নিলি = নিয়ন,
আর = আর্গন,...
কৃপা = ক্রিপ্টন,
যায় =জেনন,
রংপুরে = রেডন

৪।আসেন বিয়াই সবাই গিয়ে টুলে/ টেবিলে বসি (অপধাতু)

আসেন = As, বিয়াই = Bi,সবাই= Sb,গিয়ে = Ge, টেবিলে/টুলে = Te, ব =B, সি = Si

পর্যায় সারণি নির্ণয়

শোন ১S
শোন ২S
প্রিয়া শোন ২p ৩s
প্রিয়া শোন ৩P ৪S
ডিপিএস কর ৪d ৪p ৬s
ডি পি এস কর ৪d ৫p ৬s
এফ ডি পি এস করো ৪f ৫d ৬p ৭s
এফ ডি পি এস করো ৫f ৬d ৭p ৮s

এখন এই ছন্দ পড়ে মৌলের যোজনী ও অবস্থান বের করা সম্ভব।

এখানে,
s=2
p=6
d=10
f=14
example Na=11
১s^2 ২s^2 ২p^6 ৩s^1

মৌলিক রাশি মনে রাখার টেকনিক

দেব ও দীপা তার ভাবির সাথে তাঁতির কাছে গেল
দ=দৈর্ঘ্য
দ=দীপন ক্ষমতা
প=পদার্থের পরিমাণ
ত=তাপমাত্রা
ভ=ভর
স=সময়
ত=তড়িৎ প্রবাহ

জোনাক পোকার আলোর রাসায়নিক ব্যাখ্যা

জোনাক নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। সাহিত্যে জোনাকি পোকা দিয়ে কত উপমা! স্ব-প্রভার ক্ষমতা, জোনাকি পোকাকে করেছে অনন্য।কিন্তু এর রসায়নটা কী? জোনাক আলোর ক্রিয়াকৌশল(mechanism) নিয়ে, গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে।একক ক্রিয়াকৌশল(Unique Mechanism) ব্যাখ্যায়,গবেষকরা এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেন নি। তবে মূল রসায়নটা জানা গেছে। সহজ করে ব্যাখ্যাকরলে বিষয়টা দাঁড়ায় এমন; জোনাকি পোকার নির্দিষ্ট কিছু কোষে লুসিফেরিন (luciferin) নামের অনু থাকে। সেই অনু, অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে,অক্সিলুসিফেরিন নামের একটি অনু তৈরি করে।লুসিফেরিন থেকে অক্সিলুসিফেরিন (oxyluciferin)রূপান্তরের বিক্রিয়ায় সাহায্য করে একটি এনজাইম। এনজাইমটির নাম লুসিফিরেজ (enzymeluciferase)। বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী। ফলে এই বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপশক্তি, আমরা আলোক শক্তিরূপে দেখতে পাই। এক বাক্যে, রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপশক্তির, আলোকশক্তিতে রূপান্তরই, জোনাক আলোর মূল উৎস।

জেনে রাখা ভাল

১৷ মানুষ যে খনিজ পদার্থ বেশী খায়?
=ক্যালসিয়াম ।
২৷স্বর্ণের বিশুদ্ধতা প্রকাশ করা হয়?
=ক্যারেট দিয়ে ।
৩৷ কাগজে ঘষলে দাগ কাটে? =লেড ।
৪৷ প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়?
=অ্যালুমিনিয়াম ।
৫৷ একমাত্র অধাতু যা বিদ্যুৎ পরিবাহী?
=গ্রাফাইট ।
৬৷ ছুরি দ্বারা সহজে কাটা যায়?
=সোডিয়াম ।
৭৷ সাধারণ অবস্থায় অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়ায় জ্বলে ওঠে?
=সোডিয়াম

এসিডের শ্রেণি বিভাগ

গঠন অনুসারে এসিড দুই প্রকার।
যথাঃ
(ক) হাইড্রাসিড
(খ) অক্সি এসিড
হাইড্রাসিডঃ যে এসিডের অণুতে হাইড্রোজেন ও অন্য আধাতব মৌল থাকে কিন্তু অক্সিজেন থাকে না তাকে হাইড্রাসিড বলে। যেমনঃ HCl, HBr, HI,HCN ইত্যাদি।
অক্সি এসিডঃ যে এসিডের অণুতে হাইড্রোজেনের সাথে অক্সিজেন ও অন্য এক বা একাধিক অধাতব মৌল থাকে উহাকে অক্সি এসিড বলে। যেমনঃ HNO3, H2SO4, H3PO4 ইত্যাদি।
উৎস অনুসারে দুই প্রকার। যথাঃ
(ক) অজৈব এসিড
(খ) জৈব এসিড
অজৈব এসিডঃ HCl, HBr, HI,HCN ইত্যাদি।
জৈব এসিডঃ অ্যাসিটিক এসিড (CH3-COOH), সাইট্রিক এসিড (C6H8O7), অকজালিক এসিড (HOOC-COOH), ফরমিক এসিড (H-COOH) শক্তিমাত্রা অনুসারে দুই প্রকার।
যথাঃ
(ক) তীব্র এসিড (Strong Acids)
(খ) মৃদু এসিড (Weak Acids)
তীব্র এসিড (Strong Acids):যে সমস্ত এসিড পানিতে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দেয় তাকে তীব্র এসিড (Strong Acids) বলে। যেমনঃ HNO3, H2SO4 ইত্যাদি।
মৃদু এসিড (Weak Acids): যে সমস্ত এসিড পানিতে সামান্য পরিমাণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দেয় তাকে মৃদু এসিড (Weak Acids) বলে। যেমনঃ অ্যাসিটিক এসিড (CH3-COOH), সাইট্রিক এসিড (C6H8O7), অকজালিক এসিড (HOOC-COOH), ফরমিক এসিড (H-COOH) ইত্যাদি।
ক্ষারকত্ব অনুসারে চার প্রকার। যথাঃ
(ক) এক ক্ষারকীয় এসিড
(খ) দ্বি-ক্ষারকীয় এসিড
(গ) ত্রি-ক্ষারকীয় এসিড
(ঘ) চার ক্ষারকীয় এসিড
এক ক্ষারকীয় এসিডঃ একটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন সমন্বিত এসিডকে এক ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমনঃ HBr, HNO3 ইত্যাদি।
দ্বি-ক্ষারকীয় এসিডঃ দু’টি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন সমন্বিত এসিডকে দ্বি-ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমনঃ H2SO4, H2SO3, H2CO3 ইত্যাদি।
ত্রি-ক্ষারকীয় এসিডঃ তিনটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন সমন্বিত এসিডকে ত্রি-ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমনঃ H3PO4, H2SO3, H2BO3 ইত্যাদি।
চার ক্ষারকীয় এসিডঃ চারটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন সমন্বিত এসিডকে চার ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমনঃ H4P2O7 ইত্যাদি।

সংজ্ঞা পর্ব

ডাইভ্যালেন্ট মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল মৌলের যোজনী দুই ঐ সকল মৌলকে ডাইভ্যালেন্ট মৌল বলে। যেমনঃঅক্সিজেন।
ট্রাইভ্যালেন্ট মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল মৌলের যোজনী তিন (৩) ঐ সকল মৌলকে ট্রাইভ্যালেন্ট মৌল বলে। যেমনঃ অ্যালুমিনিয়াম।
রাসায়নিক ক্রিয়া কাহাকে বলে?
উত্তরঃ একটি মৌলের বা যৌগিক পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক নতুন পদার্থের সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে রাসায়নিক ক্রিয়া বলে।
রাসায়নিক আসক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ বিভিন্ন মৌলের মধ্যে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হইবার প্রবনতাই হল রাসায়নিক আসক্তি।
পরমাণু কি?
উত্তরঃ মৌলের পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার স্বাধীন অস্তিত্ব নেই কিন্তু ক্ষুদ্রতম একক হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে পরমাণু বলে।
মূল কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল অতিশয় ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত তাদেরকে পরমাণুর মূল কণিকা বলে।
স্থায়ী মূল কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ কতগুলো মূল কণিকা আছে যা সব পরমাণুতেই থাকে তাদেরকে স্থায়ী মূল কণিকা বলে।
অস্থায়ী মূল কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ কতগুলো মূল কণিকা আছে যা কোন কোন মৌলের পরমাণুতে খুবই অল্প সময়ের জন্য থাকে এদেরকে অস্থায়ী মূল কণিকা বলে।
কম্পজিট কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ স্থায়ী ও অস্থায়ী মূল কণিকা ছাড়াও আরও এক ধরণের ভারী কণিকা দেখা যায় এদেরকে কম্পোজিট কণিকা বলে।
নিউক্লিয়ার শক্তি কি?
উত্তরঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন যে শক্তির সাহায্যে যুক্ত থাকে তাকে নিউক্লিয়ার শক্তি বলে।
পারমানবিক সংখ্যা কি?
উত্তরঃ কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত ধনাত্মক চার্জ তথা প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমানবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাংক ব

হাইড্রোজেন বর্ণালীতে বিভিন্ন রেখার উৎপত্তি মনে রাখার টেকনিক

উৎপত্তি মনে রাখার টেকনিক :-
" লাইলি বর্মনের প্রেম বিরহের ফসল "
লাইলি = লাইমেন সিরিজ
বর্মনের = বামার সিরিজ
প্রেম = প্যাশ্চেন সিরিজ
বিরহের = ব্রাকেট সিরিজ
ফসল = ফুন্ড সিরিজ

ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ মনে রাখার উপায়

যেসব পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিনত না হয়ে সরাসরি গ্যাসে পরিনত হয় তাদেরকে উর্ধপাতিত পদার্থ বলে । এর উদাহরন গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন।
এর উদাহরন মনে রাখার টেকনিক ::
"বাংলার কোথাও আমাদের নিতু নেই।"
বাংলার - # বেনজয়িক_এসিড 
কোথাও - # কর্পূর 
আমাদের - # আয়োডিন 
নিতু - # নিশাদল 
নেই - # ন্যাপথালিন

সংকেত ও তথ্য

১।ইপসাম লবণ-MgSO4.7H2O 
২।প্রডিউসার গ্যাস-CO+N2 
৩।অলিয়াম এর সংকেত-H2S2O7 
৪।চাইনিজ হোয়াইট-ZnO 
৫।সালফার সেসকুই অক্সাইড-S2O3 
৬।অয়েল অব ভিট্রিয়ল-H2SO4 
৭।মার্কের পারহাইড্রল-30% H2O2 এর দ্রবণ 
৮।রাজঅম্ল-"1" মোল "গাড়" HNO3+"3" মোল "গাড়" HCl এর মিশ্রণ 
৯।কঠিন আলুমিনিয়াম ক্লোরাইডের সঠিক আণবিক সংকেত-Al2Cl6 
১০।জুয়েলারস বর্জ্য এর সংকেত-Fe2O3 
***চাইনিজ হোয়াইট চর্মরোগ এর মলম তৈরি এবং দাতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। 
**ভিট্রিয়ল মানে হল কাঁচ।সবুজ ভিট্রিয়ল(Fe2SO4.7H2O) এবং ফিটকিরি থেকে তৈরি বলে এবং দেখতে তৈলের মত বলে H2SO4 কে অয়েল অব ভিট্রিয়ল বলে। 
*রাজঅম্লের অপর নাম-অ্যাকুয়া রোজিয়া।এটি Au,Pt ইত্যাদি নিষ্ক্রিয় ও অভিজাত ধাতুকে দ্রবীভূত করে।এর দ্বারা অভিজাত ধাতুগূলোর বিশুদ্ধতা নিরূপণ করা হয়

কেলাসের নাম ও উদাহরণ মনে রাখার সহজ কৌশল

কেলাসের নামঃ মনোক্লিনিক (m)
ছন্দ : ম ন স জা গ কর
উদাহরণঃএখানে>ম তে >মনোক্লিনিকসালফার(s8),স>তে>সবুজ ভিট্রিওল,জিপসাম, গ্লুবার লবন
কর্ণ সম্পর্ক মনে রাখার উপায় :
লিমা বেরিয়ে এলো বউ সেজে
লি : Li ----মা : Mg
বেরিয়ে : Be ---- এলো : Al
বউ : B ---- সেজে : Si
.
উজ্জল ধাতু মনে রাখার টেকনিক ::
"আজ মামা আলনা কিনবে "
আজ=Ag
মামা=Mg
আল=Al
না =Na
কিনবে=Ca
উদ্ধায়ী ধাতু মনে রাখার টেকনিক
"জন কেডি মার্কারিকে চিনে"
জন=Zn
কেডি=Cd
মার্কারি=Hg
চিনে=Cn
মুদ্রাধাতু : অকাজ
অ: Au
কা: Cu
জ : Ag
অপধাতু : জি বিয়াই সিগগির আসেন সাবধানে টুলে আসেন
জি : Ge
বিয়াই : Bi
সিগগির : Si
আসেন : As
সাবধানে : Sb
টুলে : Te
বসেন : B
চুম্বক ধাতু : ফেল করি নাই রুহুল রহিম পটলাকে প্যাদাবে
ফেল : Fe
করি : Co
নাই : Ni
রুহুল : Ru
রহিম : Rh
পটলাকে : Pt
প্যাদাবে : Pd
নিকৃষ্ট ধাতু : লতা
ল : লোহা (Fe)
তা : তামা (Cu)
নরম ধাতু : পাবে না কে কে পাবে : Pb
না : Na
কে : K
কে : Ca

বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌগের ব্যবহার

চেতনানাশক:
¤ইথিলিন - ইতির
¤ক্লোরোফর্ম - কো
¤ক্লোরিটোন - কে
¤নাইট্রাস অক্সাইড - নাই
¤ইথার - ইঁদুর
মনে রাখার ছন্দ: ইতির কোকে ইঁদুর নাই
কীটনাশক:
¤ডি ডি টি - ডল
¤এনড্রিন - এন্ড
¤ক্লোরোডেন - কেনে
¤ডিলড্রিন - ডিস
¤গ্যামাক্সিন - গাজী
মনে রাখার ছন্দ: গাজী ডল এন্ড ডিস কেনে
জীবাণুনাশক:
¤টিংচার আয়োডিন - টাই
¤আয়োডোফর্ম - আনতে
¤ফরমালিন - ফুটবল
¤ফিটকিরি - ফুল
¤ব্লিচিং পাউডার - বাধে
¤ফেনল - ফেলে
¤রেক্টিফাইড স্পিরিট -রনি
মনে রাখার ছন্দ: রনি ফুটবল ফেলে ফুল আনতে টাই বাধে
নিদ্রাকারক:
¤ক্লোরিটোন - কেউ
¤বেনড্রিল - ব্যাথা
¤প্যাথেডিন - পড়ে
¤প্যারালডিহাইড - পেয়েছে
মনে রাখার ছন্দ: কেউ পড়ে ব্যাথা পেয়েছে...

রসায়ন : Ph নির্ণয়

ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক কাজ দেবে বলে আশা করি।
. .005 M H²SO⁴ এর pH কত ?
→ -log (0.005 x 2) [যেহেতু H ২টা ]
→ -log (.01)
→ 2
.
pH এর শর্টকাট ট্রিকঃ
.
যদি দশমিক সংখ্যার শেষ অঙ্ক 1 থাকে তবে দশমিকের পর যতগুলো অঙ্ক থাকে তার pH তত ।
0.01 M ঘনমাত্রার pH এর কত ?
0.01 এখানে দশমিকের পর দুই ঘর আছে তাই এর pH 2

পর্যায় সারনির কিছু তথ্য



সবচেয়ে হালকা ধাতু: লিথিয়াম (Li)
সবচেয়ে হালকা মৌল: হাইড্রোজেন (H)
সবচেয়ে ভারী ধাতু: অসমিয়াম (Os)
সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু: ক্যালিফোর্নিয়াম (Cf)
সবচেয়ে ঘাতসহ ধাতু: সোনা (Au)
সবচেয়ে নমনীয় ধাতু: প্লাটিনাম (Pt)
সবচেয়ে উচ্চ গলনাংক বিশিষ্ট ধাতু: টাংস্টেন (W)
সবচেয়ে নিম্ন গলনাংক বিশিষ্ট ধাতু: লেড (Pb)
তরল ধাতু: Fr, Ga,HG,Cs
তরল অধাতু: Br
সবচেয়ে ভারী তরল: Hg
তেজস্ক্রিয় ধাতু: Ba
সবচেয়ে তড়িত্ ধনাত্মক গ্রুপ: IA
সবচেয়ে তড়িত্ ঋনাত্মক গ্রুপ: VIIA
সবচেয়ে তড়িত্ ধনাত্মক মৌল: Fr
সবচেয়ে তড়িত্ ঋনাত্মক মৌল: F

রসায়ন-অস্থায়ী মুল কণিকা মনে রাখার সহজ

ছন্দ-
নিউটন গ্রামের আন্টির মেয়ের প্রেমে ব্যাস্ত।
এখানে-
নিউটন _নিউট্রনো
গ্রামের-গ্রাভিটন
আন্টির-অ্যান্টিনিউট্রনো
মেয়ের-মেসন
প্রেমে-পজিট্রন
ব্যাস্ত-বোসন
জেনে এলাম সানিয়া পাবেই পাবে ।
জেনে = ZnO
এলাম = Al2O3
সানিয়া = SnO2
পাবেই = PbO
পাবে = PbO2
মজার রসায়ন মজার রসায়ন Reviewed by SGMoviesHD on May 25, 2018 Rating: 5

No comments:

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.